হবিগঞ্জে চলন্ত বাসে এক কলেজছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। রবিবার (১৫ জুন) রাতে এ ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত বাসচালককে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করেন স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনায় সোমবার সকালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী হবিগঞ্জ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয়রা বাস থামিয়ে চালককে ধরে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় সোমবার সকালে ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে ওই দুজনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকার একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রবিবার দুপুরে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার উদ্দেশ্যে একটি বাসে রওনা দেন। তিনি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা ছিল। কিন্তু তিনি ঘুমিয়ে পড়ায় তাকে বাসের হেলপার নামিয়ে দেয়নি। পরে তার ঘুম ভাঙলে তিনি দেখতে পান শায়েস্তাগঞ্জ অতিক্রম করে ফেলেছেন। পরে একই মহাসড়কের শেরপুরে তিনি নেমে পড়েন। পরে এ তরুণী বাড়ি ফেরার জন্য শেরপুর নবীগঞ্জ উপজেলাসদরে চলাচলকারী একটি লোকাল বাস ‘মা এন্টারপ্রাইজে’ ওঠেন। বাসটি রাত ১০টার দিকে আউশকান্দিতে পৌঁছালে অন্য যাত্রীরা সব নেমে যান।
এরপর চালক ও হেলপার ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে চলন্ত বাসেই সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। এ সময় বাসের ভেতরে নারী চিৎকার শুনতে পেয়ে আশপাশের লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে ওই বাসটি সড়কের এনাতাবাদ এলাকায় পৌঁছালে এলাকাবাসী বাসটি থামান। এ সময় তরুণী ধর্ষণের কথা এলাকাবাসীকে জানায়। তার অভিযোগে এলাকাসী বাসচালক সাব্বির মিয়াকে (২৫) আটক করেন। এ সময় অপর অভিযুক্ত বাস হেলপার লিটন মিয়া (২৬) পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন সেনাক্যাম্পে যোগাযোগ করেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বাসচালককে সোপর্দ করা হয়। সেনাবাহিনী অভিযুক্ত সাব্বির মিয়াকে ওইদিন রাতেই নবীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করেন।
আটক হওয়া সাবিবর মিয়া নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতাবাদ বাংলাবাজার এলাকার বাসিন্দা। তার তথ্যমতে পালিয়ে যাওয়া হেলপার লিটন মিয়া সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিন্দা।
Leave a Reply